বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস এর মধ্য বিকাশ সবার থেকে এগিয়ে আছে সার্ভিস কিংবা গ্রাহক দিক থেকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথ টাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । অনেক সময় দেখা যায় আমাদের চাহিদা পূরণের জন্য লোন প্রয়োজন পড়ে। তখন আমরা বিভিন্ন ব্যাংক , বন্ধু অথবা আত্নীয় স্বজন থেকে লোন নিয়ে থাকি। যা পরবর্তীতে আমাদের সম্মনহানী সহ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বিকাশ চালু করেছে বিকাশ লোন সার্ভিস । যা সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে থাকে । আমরা বিকাশ লোন এর মধ্যমে থেকে ৫০০ থেকে ২০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত খুব সহজে লোন নিতে পারব । যার জন্য আমাদের কোন প্রকার জামানত প্রদান করতে হবে না। তাই আজকে আপনাদের জানাব বিকাশ লোন সম্পর্কে এ টু জেট সব কিছু।
বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন?
বিকাশ যেহেতু আপনার থেকে কোন জামানত গ্রহণ করছে না তার জন্য তারা আপার বিকাশ একাউন্ট এর লেনদেন সম্পর্কে ধারণা নিবে । আমার বিকাশ একাউন্ট এর তথ্য অনুয়াযী আপনি কি পরিমাণ অর্থ লোন নিতে পারবেন তা নির্ভর করে বিকাশ অাপনাকে জানাবে । আপনি পরিমাণ অর্থ হতে যে কোন অর্থ লোন হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। কোন রকম জামানত ছাড়া স্বল্প পরিমাণ সুদ এর বিনিময়ে।
মোট কথা আপনি বিকাশ লোন গ্রহণ
করতে হলে আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্ট এ বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে এবং বিকাশ অ্যাপ
এর সার্ভিস গুলো বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি লোন পেতে পারবেন।
বিকাশ লোন পাবো কিনা কিভাবে
বুঝব?
বিকাল লোন আপনি পাবেন কিনা
তা জানতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে । ধাপ গুলো হলো
ধাপ ১. আপনার বিকাশ অ্যাপটি
লগইন করে নিন।
ধাপ ২. হোম পেইজ এ লোন বাটন
এ ক্লিক করুন।
ধাপ৩. লোন পেইজ এ যার পর যদি দেখতে পান আপনার বর্তমান লিমিট (যে কোন টাকা ) যেমন 1000, 5000, 200000 দেখতে পান তাহলে আপনি উক্ত পরিমাণ লোন নিতে পারবেন। আর যদি লেখা থাকে দুঃখিত আপনি বিকাশ লোন এর জন্য উপযুক্ত নন তাহলে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন না।
বিকাশ থেকে লোন কি ভাবে নিব?
বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য
নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন
ধাপ১. হোম পেইজ থেকে লোন এ
ক্লিক করুন।
ধাপ২. লোন এর জন্য উপযুক্ত
হলে লোন নিন এ ক্লিক করুন।
( আর যদি আপনার সমনে দুঃখিত
আপনি বিকাশ লোন এর জন্য উপযুক্ত নন লেখাটি দেখেতে পান তাহলে আপনি লোন নিতে পারবেন না।
লোন নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাপ আরো বেশি বেশি ব্যবহার করুন । তাহলে পরবর্তীতে লোন
অপশন পেয়ে যাবেন। (
ধাপ৩. আপনার প্রয়োজনীয় লোন এ এমাউন্ট দিন এবং কত মাসের
জন্য নিতে যাচ্ছেন সিলেক্ট করুন। তারপর এগিয়ে যান এ ক্লিক করুন।
(বিকাশ লোন সাধারণত ৩মাস অথবা ৬ মাস এর জন্য হয়ে
থাকে)।
ধাপ৪. লোন সম্পর্কিত যাবতীয়
তথ্য দেখে বুঝে নিন। এখানে আপনি লোন কত টাকা নিয়েছেন, প্রসেসিং ফি, প্রাপ্ত টাকা
, মোট ইন্টারেস্ট, ইন্টারেস্ট রেট, এবং কিস্তির
সংখ্যা এবং টাকা দেখতে পাবেন।
ধাপ৫. সব কিছু
ঠিক থাকরে এগিয়ে যান বাটন এ ক্লিক করুন। আপনার বিকাশ একউন্ট এ লোন এ টাকা পেয়ে যাবেন।
বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট কত পাসেন্ট করে দিয়ে হয়?
সাধারাণত বিকাশ লোন এর জন্য
চক্রবৃদ্ধিহারে ৯% করে ইন্টারেস্ট প্রধান করতে হয়। এছাড়া ও আপনি যদি মাসিক কিস্তির
টাকা পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে চক্রবৃদ্ধিহারে বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট বাড়তে থাকবে
যত দিন পর্যন্ত কিস্তির টাকা পরিশোধ না করেন।
বিকাশ লোন আবেদন ফি কত?
বিকাশ
লোন এর আবেদন ফি খুবি সামান্য যা নিদিষ্ট করে বলা যায় না । কারণ আপনার লোন এর টাকা
এবং মাস অনুযায়ী অল্পপরিমান কাটে। যা আপনি লোন নেওয়া আগে লোন নেওয়ার প্রক্রিয়ার ধাপ ৪ এ দেখতে পাবেন।
বিকাশ লোন আবেদন ফরম কোথায় পাবো?
বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য কোন প্রকার আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হয় না। এটি অটোমেটিক বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই আপনার কোন প্রকার কাগজ,ফরম ও ডোকোমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে না।
আমা
করি এই পর্বে আপনাদের বিকাশ লোন সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি। আপনারা উক্ত প্রক্রিয়া
অনুযায়ী বিকাশে লোন গ্রহণ করতে পারবেন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই।
কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করুন । অথবা বিকাশ হেল্পলােইন নাম্বার এ কল করুন। ধন্যবাদ