আমরা অনেক সময় বিভিন্ন দোকান, সুপার সফ কিংবা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিল পরিশোধ করর জন্য পেমেন্ট করতে গেলে বিকাশের mercent account এর মাধ্যমে আমরা বিল পরিশোধ করে থাকি । এখান থেকে আমাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতে থাকে যেমন মার্চেন্ট একাউন্ট আসলে কি? এর সুবিধা কি? মার্চেন্ট একাউন্ট কিভাবে ওপেন করে? তাই আজকে আপনার মাঝে বিকাশ মার্চেন্ট সম্পর্কে সকল কিছু তুলে ধরব । তাহলে শুরু করা যাক.
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?
বিকাশ
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যে
সকল ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান তাদের
পেমেন্টে গ্রহণের জন্য বিকাশের মাচেন্ট
সেবা সাথে যুক্ত থাকার
একটি ব্যবস্থা হচ্ছে মার্চেন্ট একাউন্ট । মার্চেন্ট একাউন্ট
এর মাধ্যমে যে কোন ব্যবসা
বা প্রতিষ্ঠিান তাদের পণ্যে বা সেবার বিপরীতে
পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে ।
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্য বিকাশের
জনপ্রিয়তা সবার উপরে ।
যার ফলে প্রত্যেক দোকানদার,
ব্যবসায়ীদের, প্রতিষ্ঠান উচিত একটি মার্চেন্ট
একাউন্ট রাখা । যার
ফলে তার গ্রাহকরা খুব
সহজেই পণ্যের বিল পে করতে
পারবে । এছাড়া মার্চেন্ট
একাউন্ট এর অনেক সুযোগ
সুবিধা ও আছে ।
যার
মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ আরো সহজ এবং এক্সট্রা কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারি।
মার্চেন্ট
একাউন্ট এর সুবিধা গুলো
কি?
১. একজন বিকাশ
ইউজার তার পার্সোনাল একাউন্টের
সাথে একটি মার্চেন্ট একাউন্টে
খুলতে পারবেন, যদি না তার
ইতিমধ্যে এজেন্ট অথবা রিটেইল একাউন্ট
না থাকে ।বিকাশ মার্চেন্ট এর জন্য অবশ্যই একটি ফ্রেস সিম এর প্রযোজন
পড়বে যার মধ্য আগের কখনও বিকাশ একাউন্ট খোলা হয় নাই।.
২. বিকাশ
মার্চেন্ট ব্যবহার এর মাধ্যমে অনেক
গুলো পে বিল করতে
পারবেন । যার জন্য
এক্সট্রা চার্জ প্রদান করতে হয় না
। যেমনঃ বিদ্যুৎ, গ্যাস, সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান,ইত্যাদি।
৩. মার্চেন্ট একাউন্টের আরও একটি বড়
সুবিধা হল এই একাউন্টে
এ মাসে ৫০০০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা পেমেন্ট গ্রহন করতে পারবেন।
৪. আপনি
এক টাকা থেকে শুরু
করে যে কোন টাকা
লেনদেন করতে পারবেন ।
যেটা আমরা পার্সোনাল একাউন্টে
দেখতে পাই না ।
৫. বিকাশ মাচেন্ট একাউন্ট থেকে যে কোন
মার্চেন্ট একাউন্ট এ টাকা পাঠানো
যায় কোন রকম খরচ
ছাড়াই। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের
পাইকার থেকে কোন প্রকার খরচ ছাড়াই আমাদের বিল পরিশোধ করতে পারব। যার ফলে আমাদের ব্যাংকে
যার প্রয়োজন নেই।
৬. মার্চেন্ট একাউন্টের জমাকৃত অর্থ ব্যাংক অথবা
যে কোন মোবইল ব্যাংকিং
এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন ।
যার জন্য নিদিষ্টি হারে
চার্জ প্রযোজ্য ।
৭. যে কোন বিকাশ
এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট
করা যায় । যার
চার্জ ১৪.৯০পয়সা । যার জন্য
প্রিয় নাম্বার করতে হয় না
।
৮. বিকাশের API ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
আপনি যে কোন পেমেন্ট
গ্রহণ করতে পারবেন ।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি কাজগপত্র লাগে?
১. একটি ব্যবসা বা
প্রতিষ্ঠান ।
২. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মেয়াদসহ ট্রেড লাইসেন্স । না থাকলে
ও করতে পারবেন ।
৩. জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট
বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি ।
৪. মাসিক পেমেন্ট গ্রহণের অনুমানিক তথ্য ।
৫. একটি ওয়েবসাইটের
ঠিকানা( যদি থাকে) না
থাকলে ও সমস্যা নেই
।
৬. দুই কপি
ছবি
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ধাপ ১. বিকাশ মার্সেট একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে । অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুনnull
ধাপ ২.
প্রথম বক্সে ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের অপশনে
আপনার দোকান, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের নাম
দিন.
ধাপ ৩. ঠিকানা
বক্সে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঠিক ঠিকানাটি উল্লেখ
করুন ।
ধাপ ৪.
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরন অপশনে আপনার
কি ধরনের ব্যবসা সেটা উল্লেখ করুন
।
ধাপ
৫. যোগাযোগ কারীর নাম এর বক্স এ নাম দিন ।
ধাপ ৬.
মো্বাইল নাম্বার এর বক্স এ মোবাইল
নাম্বার দিন।
ধাপ ৭. একটি ইমেল দিন।
ধাপ ৭.
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে
অতিরিক্ত কিছু তথ্য দিন।
ধাপ ৮.
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা
অপশন গ্রহন করুন।
ধাপ ৯.
মেয়াদসহ ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা নির্বাচন করুন।
ধাপ ১০.
ট্রেড লাইসেন্স নাম্বারটি দিন
। ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ নির্বাচন করুন।
ধাপ ১১. আপনার
কি ব্যাংক একাউন্ট আছে নির্বাচন করুন।
ধাপ ১২. আমি
রোবট নই বক্স এর ক্লিক করুন।
ধাপ ১৩. সকল
তথ্য পূরণ হলে জমা দিন বাটন এ ক্লিক করুন।
তারপর আপনার আবেদনটি বিকাশ কর্তৃপক্ষ যাচাই করবে । এবং যদি সব কিছু ঠিক থাকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট চালু করে দিবে । পরবর্তীতে পিন সেট করে এপস এর মাধ্যমে আপনি আপনার সেবা গ্রহণ করতে পারবেন । আপনার কাষ্টমারকে বিকাশ মার্চেন্ট পেমেন্ট সেবার মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন ।
উপরের
উল্লেখিত উপায়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে
খুব সহজেই মার্চেন্ট একাউন্ট এর জন্য আবেদন
করতে পারবেন । এছাড়া আপনি
চাইলে বিকাশের উপজেলা বা জেলা কার্যালয়
থেকে মার্চেন্ট একাউন্টের জন্য আবেদন করতে
পারবেন । সেই ক্ষেত্রে
অবশ্যই উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টের
ফটোকপি গুলোর সাথে নিয়ে যাবেন
।
বিকাশা মার্চেন্ট
একাউন্ট ব্যবহার করার জন্য প্লে স্টোর অথবা অনলাইনে লগইন করে আপনার মাচেন্ট একাউন্টি
ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি
বন্ধুরা বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার বিষয়ে সকল তথ্য আপনার
মাঝে তুলে ধরেছি। আর কোন বিষয় জানার থাকলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথবা বিকাশ
কাষ্টমার কেয়ারে ফোন করে জেনে নিতে পারেন।