বিকাশ সেভিংস বা ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট

 

মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্য অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। বিকাশ গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নানান রকমের ফিউচার চালু করছে। যার কিছু কিছু অন্যন্যা মোবাইল ব্যাংকিং এ দেখা গেলেও  এত ফিউচার বিকাশ ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না। তাই আজকে আপনাদরে সামনে বিকাশের আরেকটি ফিউচার বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস সম্পর্কে তুলে ধরব। বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস এর মাধ্যমে আপনার কোন প্রকার কাগজপত্র ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে ৬মাস থেকে শুরু করে ৪বছর পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারবেন। এবং ডিপিএস এর টাকা বিকাশ থেকে তুলতে কোন প্রকার খরচ কাটা হবে না।  তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক..

বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস একাউন্ট এর সুবিধা  গুলো কি?

বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস করার অনেক গুলো সুবিধা রয়েছে তা নিম্নে  তুলে ধরা হলঃ

১. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস করার জন্য কোন প্রকার কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তাই কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া খুব সহজে একাউন্ট করতে পারবেন।

২. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস মাসিক বা সাপ্তাহিক কিস্তি অটোমেটিক ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে পরিশোধ করা হয়ে যাবে। যার জন্য আপনাকে কোন ব্যাংকে যেতে হবে না।

৩. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস একাউন্টের টাকা তুলতে কোন প্রকার খরচ হয় না। তাই বিনা খরচে বিকাশ থেকে তুলতে পারবেন।

৪. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস আপনি সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদি সঞ্চয় করতে পারবেন। এই সুবিধা অন্যকোন ব্যাংক বা অন্য কোথাও পাবেন না।

৫. বিকাশ অ্যাপ থেকে আপনি চাইলে একাধিক বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস করতে পারবেন ।

৬. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস একাউন্টে কোন অতিরিক্ত চার্জ প্রয়োজ্য হবে না।

৭. আপনার টাকার প্রয়োজন হলে কমপক্ষে ৩মাস পার হলে যে কোন সময় বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস ভেঙ্গে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

৮. বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মাফিক বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস পরিচালিত হবে।

৯. আপনার পচন্দ মতে সাপ্তাহিক এবং মাসিক ভাবে বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারবেন।

 

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য অনেক গুলো ধাপ রয়েছে যা নিচে বর্ণনা করা হলঃ-

ধাপ ১. বিকাশ অ্যাপ লগইন করে নিন।

ধাপ২. বিকাশ অ্যাপ  এর হোমস্ক্রিন থেকে সেভিংস বাটনে ক্লিক করুন এবং শর্তাবলিতে সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যান।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৩. এবার নতুন সেভিংস স্কিম খুলন এ ক্লিক করুন।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৪. এই ধাপে জমার পরিমাস, কিস্তির সময়, কত সময়ের জন্য সেভিংস একাউন্ট করতে চান তা সিলেক্ট করুন।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৫. এবার আপনার পচন্দ অনুযায়ী কোন ব্যাংকে সেভিংস স্কিম চালু করতে চান তা নির্বাচন করুন।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৬. আপনার নমিনি তথ্য দিয়ে সেভিংস কি উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন তা নির্বাচন করুন।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৭. বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস এর সকল তথ্য দেখে নিন।  এবং এগিয়ে যান।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৮. আপনার বিকাশ একাউন্ট এর পিন দিন।


বিকাশ সেভিংস  বা  ডিপিএস এর সুবিধা ও কিভাবে করবেন এ টু জেট


ধাপ৯. স্কিনে নিচের অংশে চেপে ধরে রাখুন।


আপনার বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস একাউন্ট চালুর কাজ শেষ । আপনা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কনফার্মেশন মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আপনার কাজ শেষ। আপনি উপরের ধাপ গুলো সম্পূর্ণ করলে আপনার ডিজিটাল বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস চালু হয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা রাখুন । সেভিংস একাউন্ট এর মেয়াদ শেষ হলে আপনার একাউন্টে সম্পূর্ণ টাকা জমা হয়ে যাবে। যার ক্যাশ আউট করতে আপনার কোন প্রকার ক্যাশ আউট চার্জ লাগবে না।

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার  কত?

বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস সাধারণত  চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে । ‍বর্তমানে বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস এর মুনাফার হার ৭ -১০% পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

সাধারণত  সাধারণ বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস স্কিম এ ৭-৮.২৫% দিয়ে থাকে । আপনি যদি আয়কর সার্টিফিকে দিয়ে করে সে ক্ষেত্রে ১০% পর্যন্ত  মুনাফা দিয়ে থাকে।

 

আশা করছি বিকাশ সেভিংস বা বিকাশ ডিপিএস স্কিম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে সকল তথ্য তুলে ধরেছি। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্স এ করতে পারেন অথবা বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার এর যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।