অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার / মুক্তির উপায়
বর্তমানে আমাদের দেশে অস্বাভাবিক ভাবে গরম বেড়েই চলছে । যা আমাদের স্বাভাকি কাজ কর্ম ও স্বাভাবিক জীবনে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এই গরমের সময় বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণী এবং মধ্যবৃত্ত শ্রেণীর শ্রমজীবি মানুষদের মাঠে এবং খোলা জায়গায় কাজ করতে হচ্ছে । অতিরিক্ত গমমের ফলে মানুষের ক্ষতির পাশাপাশি অনেক রকমের রোগের সৃষ্টি হচ্চে। এই পর্বে আমরা তীব্র গরম বা অতিরিক্ত গম থেকে কি ভাবে বাঁচবো সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাচাঁরে
অন্যতম উপায় হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা । যা আমরা নিচের কিছু উপায়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন
করতে পারি।
১. পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ-
তীব্র গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অত্যন্ত জরুনী কারণ পর্যাপ্ত পানি পান
কররে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন ও শরীর ঠান্ডা থাকে।
২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাঃ-
অতিরিক্ত গরমের সময় যদি আপনার মনে আপনি অতিরিক্ত গরম হয়ে গেছেন তাহলে কোন ছায়া যুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন
এবং যদি সম্ভব হয় পানি দিয়ে শরীর মুছে নিনি। এতে করে খুব দ্রুত গরম কমে যাবে।
৩. শাক ও সবজি খাওযাঃ- প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি গ্রহণ করুন যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমি রাখবে।
এবং যতটা সম্ভব মসলাদার খানা ও মাংস জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন এতে আপনার শরীর ঠান্ডা
থাকবে।
৪. প্রাকৃতিক ঠান্ডা খাবারঃ- শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রের জন্য প্রাকৃতিক ঠান্ডা খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন নারিকেলের পানি, দই, তাজা ফল ইত্যাদি এই সকল খাবার আপনার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. অবহাওয়া পরিবর্তনঃ- আপনার
যদি সামর্থ থাকে তাহলে শীলকালিন আওয়াহাওয়া যেখানে আছে কিছুদিন সেখান থেকে সময় কাটিয়ে
আসুন। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ও যেতে পারেন। পাহাড়ী এলাকা তুলনামূলক ভাবে শহর থেকে ঠান্ডা
আওয়াহাওয়া থাকে।
৬. হালকা রঙ্গের পোশাকঃ- গরমের
সময় ডিলেঢালা হালকা রঙ্গের পোষাক পরিধান করুন। এতে আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে
থাকবে।
৭. টুপি বা কেপ ব্যবহার করুনঃ-
টুপি বা কেপ ব্যবহার এর ফলে আপনার মাথা রোধ থেকে রক্ষা পাবে ।
এই সকল বিষয় পালন করুন। এতে আনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং বড় দূর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারবেন। এছাড়া ও আপনি যদি অনুমান করেন আপনার শরীর অতিরিক্ত গরম হয়েছে বা অসুস্থতা অনুভব করেন তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু জিনিস
পরিহার করা প্রয়োজন। কিছু বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
১. গরম জাতীয় খাবার পরিহার
করাঃ- গরম জাতীয় খাবার যেমন মাংস, ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার, হাসের মাংস এই জাতীয় বিভিন্ন
খাবার পরিহার করতে হবে।
২. হঠাৎ ঠান্ডা পানি পান করাঃ- গরমের সময় আমরা অনেক সময়
ঠান্ডা এবং বরফ পানি পান করে থাকি এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আমরা
ঠান্ডা পানি হঠাৎ করে বেশি পরিমাণ পান করব না।
৩. অতিরিক্ত সেলাইন না খাওয়াঃ-
গরমের সময় আমরা অতিরিক্ত সেলাই পান করে ফেলি যা ফলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাই সেলাইন খাওয়ার সময় আমরা আধা লিটার পানির সাথে একটি সেলাইন মিশিয়ে খাব। অতিরিক্ত
সেলাইন গ্রহন করব না।
৪. খোলা রোধে কাজ করাঃ- অতিরিক্ত
গরমের সময় আমরা কখনই খোলা মাঠে বা রোধের মধ্যে কাজ করব না। যথাসম্ভব ছায়াযক্তি স্থানে
কাজ করব।
উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো পরিহার
করা চেষ্টা করব আমরা। আমাদের সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ্য শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
গরম থেকে বাঁচার দোয়া
হযরত মোহাম্মদ (স.) তার জীবনকালে
আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেনে। তার জীবন থেকে আমরা এই পৃথীবিতে বেচেঁ থাকতে এবং আখিরাতের
জন্য কল্যাণকর সকল কিছুই দিয়ে গেছেন। আমাদের প্রোয়োজন সমস্যা সামগ্রিক জীবন পরিচালনার
জন্য হযরত মোহাম্মদ (স.) জীবনি যথেষ্ট। তার জীবন থেকে আমারা সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে
পারি। নবীজি গরমের সময় নিম্নে বর্ণিত দোয়াটি
করতেন।
সাহাবি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবীজির কাছে কিছু লোক এলো। গরমের তীব্রতায় তারা কাঁদছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন,
اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।
অর্থ: হে আল্লাহ!
আমাদেরকে বিলম্বে নয়
বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতি মুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী,
মুষল ধারায় বৃষ্টি
বর্ষণ করো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাদের
উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং বৃষ্টি হয়।
তাই আমরা অতিরিক্ত গরমের সময়
বেশি বেশি করে উক্ত দোয়াটি পড়তে পারি ।