ছেলে ও মেয়েদের সহজে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
ওজন কমানোর জন্য নিচে একটি ডায়েট চার্ট তুলে ধরা হলো। যা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ওজন ও বয়স অনুপাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন।
সকালের খাবারঃ-
রুটিঃ- একটি (১) গমের আটা রুটি
(মিডিয়াম সাইজ এর)
ডিমঃ- একটি (১) মুরগি অথবা
হাঁসের ডিম (সিদ্ধ অথবা ভাজি)
শাক সবজিঃ- এক (১) কাপ পাতা
যুক্ত শাকা অথবা হাফ (১/২) কাপ সবজি।
দুধঃ- এক (১) গ্লাস ফ্যাট ছাড়া
দুধ।
দুপুরের খাবারঃ-
ভাতঃ- দেড় (১.৫) কাপ পরিমাণ
ভাত।
মাছ অথবা মাংসঃ- ১২০ গ্রাম
পরিমাণ রান্না করা মাছ অথবা মাংস।
ডালঃ- এক (১) কাপ মাঝারি ঘন
ডাল।
শাক সবজিঃ- এক (১)কাপ পাতা
যুক্ত শাক অথবা দেরকাপ (১.৫) সবজি।
বিকালে নাস্তাঃ-
এককাপ চা সাথে দুটি বিস্কুট।
রাতের খাবারঃ-
রুটিঃ- দুইটি (২) গমের আটা
রুটি।
মাছ অথবা মাংসঃ- ষাট (৬০) গ্রাম
পরিমাণ মাছ অথবা মাংস।
শাক সবজিঃ- এক (১) কাপ পাতা
যুক্ত শাক এবং এক (১) কাপ সবজি।
সহজে ওজন কমানোর ব্যায়াম
ওজন কমানোর জন্য ব্যয়াম অত্যন্ত
জরুরী। ব্যায়ার মাধ্যমে ওজন কমানো তুলনামূলক সহজ। নিচে কিছু ব্যায়াম তুলে ধরা হয়েছে
যা প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে ব্যায়ামের সাথে
সাথে খাওয়া এবং ঘুম অত্যন্ত জরুরী ।
১. কার্ডিও ব্যায়ামঃ- হাঁটাচলা,
সাঁতারকাটা, সাইকেলিং, দৌড় ইত্যাদি বিষয় কার্ডিও
ব্যায়ামে অন্তভূ্ক্ত। এই ব্যায়ামগুলো আমাদের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি খরচ করতে পারে
। এতে করে খুব সহজে ওজন কমে।
হাঁটাচলাঃ- দৈনিক প্রতিদিন কম পক্ষে ৩০(ত্রিশ) মিনিট করে
হাঁটতে পারেন।হাঁটার মাধ্যমে অনেক ক্যালরি খরচ হয়। যা ওজন কমাতে সহায়ক।
সাঁতার কাটাঃ- আপনার যদি সুযোগ থাকে তাহলে নিয়মিত সাঁতার
কাটতে পারেন। সাঁতার কাটার মাধ্যমে অনেক ক্যালরি খরচ হয়। যা ওজন কমাতে সহায়ক।
সাইকেলিংঃ- দৈনিক কিছু সময় সাইকেল চালাতে পারেন ।
দৌড়ঃ- আপনি দৈনিক ৩০ মিনিট করে দৌড়াতে পারেন। এতে অনেক বেশি ওজন কমে।
২. ওজন প্রশিক্ষণঃ- ওজন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আপনি মাংসপেশি
স্থিতিশীল করতে পারেন। যার মাধ্যমে ওজন হ্রাস করতে পারবেন।
৩. সার্কুলার ব্যায়াম: এই ধরনের ব্যায়ম প্রতিদিন করলে শরীরের
বিভিন্ন অংশে ফোকাস করে এবং অনুশীলন ও স্ট্রেচিং ব্যবহার করে।
৪.
ভারি কাজ করাঃ- আপনার সুবিধা মতো যে কোন ভারি কাজ করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ
ক্যালরি খরচ হয় এবং খুব দ্রুত ওজন কমে।
ওজন কমানোর ঔষধ কি
প্রথমে প্রাকৃতিক ভাবে ওজন
কমানোর চেষ্টা করুন । যদি সম্ভব না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন।
নিজে নিজে বাজার থেকে ঔষধ খেতে যাবেন না। তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুকি সহ আরো সমস্যা
তৈরী হতে পারে।
বারিয়েটি এমএস নিয়ন্ত্রণ করার
জন্য ঔষধঃ- কিছু ঔষধ আপনার বি এম আই নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। যেমনঃ অর্লিস্টাট,
সক্সেনা, ইটফেন্সিম ইত্যাদি ।
বর্তমানে সকল ফার্মেসি অথবা
বিজ্ঞাপনে মাধ্যমে দেখতে পারবেন বিভিন্ন ধরণের ঔষধ রয়েছে যা কোম্পানি মালিকরা দাবি করছে ওজন কমাতে সহায়ক। এই সমস্ত ঔষধ থেকে দূরে
থাকবেন। এই সম্স্ত ঔষধ খেলে ওজনম কমার থেকে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি মধ্য পড়বেন।
তাই যে কোন ঔষধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অস্থি সংক্রান্ত অসুস্থাতা প্রতিরোধ করার জন্য ঔষধঃ কিছু ঔষধ ডায়াবেটিস বা অন্যান্য অসুস্থাতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, যা মানসিক ও ওজন বাড়ানোর সাথে সংগতিপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই কিছু ঔষধ এর মাধ্যমে অসুস্থাতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
যে কোন ঔষধ ব্যবহার করার আগে
সেটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া ও স্বাস্থ্য অবস্থা. ব্যায়াম,
ও খাবারের সাথে সমন্বয় করে ব্যবহার করতে হবে।
আরো বিস্তারিত পড়তে নিচে ক্লিক করুন।