বিড়ালের যত্ন, রোগ এবং বিভিন্ন সমস্যা সামাধান। এ টু জেট
আশা করছি সকলে ভালো আছেন । আমরা সকলে বিড়াল পালন করতে পচন্দ করি বা বিড়াল পালন করার চিন্তুা করছি। কিন্তু বিড়াল পালন করার সময় আমরা অনক সমস্যার সমূখিন হতে পারে। আজকের পর্বে আপনার জানতে পারবেন বিড়ালের যত্ন, বিভিন্ন রোগ এবং বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে । আশা করছি আজকের পর্বে আপনাদের বিড়াল সম্পর্কে এ টু জেট সব কিছু জানাতে পারব। এবং জানাবো আমার দুইটি বিড়াল সম্পর্কে । তাহলে শুরু করা যাক।
বিড়ালের বৈশিষ্ট্য কি কি?
বিড়াল বৈশিষ্ট্য নিয়ে কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১.চমৎকার চেষ্টা : বিড়াল একটি চমৎকার চেষ্টা দেখায় খেলা বা খোঁচাখোঁচির সময়, যখন তারা খুশি এবং উৎসাহী অনুভব করে। তারা হালকা স্পোর্টসম্যানশীপ দেখানোর জন্য খেলা করে এবং এটি অন্য বিড়ালের সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আগ্রহী হয়ে থাকে।
২. তাৎপর্যবানতা : বিড়ালগুলি অসাধারণভাবে তাৎপর্যবান হতে পারে। এটি খুব গভীরভাবে তাদের চেষ্টা বা কাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, এবং তারা সাধারণত প্রত্যাশিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাদের নিজের সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করে।
৩. বিশ্রাম পছন্দ করতে পারে : বিড়ালরা বেশিরভাগে নিজেদের উচ্চ স্থান খুজে পেতে পছন্দ করেন যেখানে তারা শান্তি ও সামাজিকভাবে একটা স্থায়ী স্থান পাবে।
৪. শিকারি : বিড়ালরা মূলত ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণী প্রজাতি, যারা পাখি, ছাগল, পাখিমত স্তন্যপায়ী প্রাণী ইত্যাদির উপর হামলা করে। তাদের চাল-চালনা এবং চিন্তা শক্তি তাদের এই কাজে সাহায্য করে।
৫. পরিচ্ছন্নতা : বিড়াল মনোযোগ দেওয়ার জন্য পরিষ্কার থাকতে স্থান পছন্দ করে। এগুলি সাধারণত তাদের শরীর পরিষ্কার রাখতে নিজ থেকে অনেক সময় ব্যয় করে।
৬. মধুর আওয়াজ : বিড়ালদের আওয়াজ সাধারণত স্মৃতিশক্তি এবং চিরস্থায়ীতার সাথে জড়িয়ে থাকে, তারা সাধারণত মধুর সুরে শব্দ করে যা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় হয়।
বিড়ালের খাদ্যাভাস বা খাবার কেমন হয়।
বিড়ালের
খাদ্যাভাস মূলত মাংসাশির জিনিসপত্রের
উপর ভিত্তি করে, তারা অধিকাংশই
মাংস খায়। তবে, কিছু বিড়াল
আমাদের পাশে থাকে এবং
তারা তাদের
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে। তাদের প্রধান
খাবারের তালিকা নিম্নরূপ:
১.
মাংস : বিড়ালরা
মূলত মাংস খায়। তারা
অধিকতর ছোট প্রাণী মাংস খেতে পচন্দ করে থাকে।
২.
মাছ: বিড়াল মাছ খায়, যা
তাদের সাঁতার শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩.
ঘাস ও লতা পাতা: বিড়াল তাজা ঘাস এবং লতাপাতা খায় এটি তার শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী
।
৪..
ডিমের কুসুম : কিছু বিড়াল ডিমের কুসুম খেতে পচন্দ করে ।
৫. কুসুম ও ফল : কিছু সময় বিড়ালরা পুষ্টির উদ্দেশ্যে কুসুম বা ফলের পক্ষে যান। তবে, এই ধরণের খাবার তাদের প্রাথমিক অনুপ্রাণিত খাবার নয়।
বিড়ালরা সাধারণত ক্ষুদ্র প্রাণীর মাংস খেতে পছন্দ করে এবং তাদের পুষ্টির জন্য প্রাথমিক খাবার হিসেবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিড়ালের বাসস্থান কেমন হওয়া উচিৎ
বিড়াল সাধারণত নিজেদের জন্য একটি কোর্ট বা বাসা খুঁজে থাকে যা তাদের সুরক্ষা এবং আরাম দেয়। অনেক বাড়িতে তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে যেখানে তারা সুরক্ষা অনুভব করে এবং তারা সেখানে থাকতে পচন্দ করে।
বিড়ালদের অবস্থান সাধারণত তাদের পরিচিত এবং স্থায়ী অবস্থানের জন্য বেঁচে থাকার উপযোগী জায়গা দিয়ে নির্ধারিত করা হয়। তাদের বাসস্থান প্রায়ই প্রায় তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গা হয়ে থাকে, যাতে তারা সুরক্ষা অনুভব করতে পারে। এই ছাড়াও সাধারণত একটি বক্স বা অন্যান্য সংযোগযুক্ত স্থানে হতে পারে।
প্রায়ই বিড়ালদের বাসস্থান তাদের খাবার ও পানির জন্য সহজলভ্য স্থান হয়ে থাকে এবং তারা প্রায়ই মানুষের সাথে বাস করে, যা তাদের সাথে একটি অনুবন্ধ ও সাথে থাকা অভ্যন্তরীণ আস্থা সৃষ্টি করে।
বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় কী?
যখন বিড়ালের জ্বর হয়, তখন
তাদের স্বাস্থ্য সার্বজনীনভাবে পরীক্ষা করা উচিত। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি তাদের
জ্বরের কারণ সনাক্ত করতে পারেন এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। তাদের জ্বর নিয়ে
যে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, তা হলো:
১. ভেতরের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা : জ্বর পেলে, বিড়ালদের ভেতরের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা অতিরিক্ত উষ্ণতা বা শীতলতা থেকে তাদের অধিক স্বাস্থ্যগত অবস্থায় ফেরত পাঠাতে সাহায্য করতে পারে।
২.পরিমাপ ও অনুসন্ধান : বিড়ালের জ্বর পরীক্ষা করার জন্য তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা উচিৎ। সাধারণত, এটি ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি জ্বর সনাক্ত করে সে অনুযায়ী একজন স্থানীয় প্রাণিচিকিৎসক এর কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।
৩. অতিরিক্ত প্রয়োজনে চিকিৎসা : যদি বিড়ালের জ্বর কম না হয় এবং সাধারণ পরিমাপের সাথে বিকল্প চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তবে তা চিকিৎসার সাথে পরামর্শ করা উচিৎ। চিকিৎসক যে চিকিৎসা প্রদান করবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করা ।
৪.পরিষ্কারতা : বিড়ালের মহান
জ্বরের সময়ে তাদের বাসা ও কার্যক্রম পরিষ্কার ও স্বাচ্ছন্দ্য অবস্থায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
এটি তাদের স্বাস্থ্যগত সহায়তায় সাহায্য করতে পারে।
বিড়ালের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কী?
যদি
আপনার বিড়াল ঠান্ডা লাগে, তবে নিম্নলিখিত কয়েকটি
করণীয় অনুসরণ করা উচিৎ:
১. অভ্যন্তরীণ উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করুন : বিড়ালদের ঠান্ডা সহ্য করা সহজ নয়, তাদের শরীরের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করুন যে তাদের উষ্ণতার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তার ঠান্ডা না লাগে। তাদের জন্য স্থায়ী একটি স্থান নির্ধারণ করুন যেখানে তারা উষ্ণতা বজায় রাখতে পারে।
২. উষ্ণ স্থান উপকরণ : বিড়ালদের জন্য উষ্ণ স্থান উপকরণ সরবরাহ করুন, যেমন উষ্ণ পশম বা তাদের জন্য একটি স্থায়ী গরম স্থান নির্মিত করুন। এটি তাদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করবে ।
৩.
খাবার ও পানি প্রদান করা
: ঠান্ডা সময়ে বিড়ালদের এক্সট্রা খাবার এবং গরম পানি
প্রদান করা উচিত। তাদের
কাছে গরম দুধ, জন্য
স্থায়ী উষ্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪.
চিকিৎসা সনাক্ত করা : যদি আপনি মনে
করেন যে আপনার বিড়াল
ঠান্ডা ধরে ফেলছে এবং
আপনার পক্ষে চিকিৎসা করা সম্ভব না, তবে
প্রাণিচিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
তাদের উপযুক্ত পরামর্শ এবং চিকিৎসা প্রদান
করতে পারেন।
বিড়ালের পেট ফুলে গেলে করণীয় কী?
যদি আপনার বিড়ালের পেট ফুলে যায়, তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাবধানতা অনুমান করা উচিৎ। নিম্নলিখিত কয়েকটি করণীয় অনুসরণ করা উচিৎ:
১.
পেটের স্থিতি পর্যালোচনা করুন : বিড়ালের পেটের ফুলে গেলে সেই
সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য লক্ষণগুলি যেমন দুধ খাওয়ার
অথবা আচরণ সম্পর্কে মনোযোগ
দিন।
২.
খাবার ও পানি পরীক্ষা করুন
: আপনার বিড়ালের খাবার সংক্রান্ত কোন পরিবর্তন হয়েছে
কিনা দেখুন। পেটের সমস্যা আরও বেশি হতে
পারে যদি তাদের পুষ্টির
অভাব বা খাবারের কোন
ধরণের সমস্যা থাকে।
৩.
চিকিৎসা সনাক্ত করুন : যদি আপনি মনে
করেন যে আপনার বিড়ালের
পেট ফুলে গেছে এবং
সাধারণ পদক্ষেপ কোন কাজ করছে না, তাহলে স্থানীয়
প্রাণিচিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। তার পরামর্শ এবং
চিকিৎসা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো কি ?
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ নিম্নলিখিত হতে পারে:
১. কাশি ও হাঁচি : বিড়াল যখন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়, তখন তারা কাশি এবং হাঁচির লক্ষণ প্রকাশ পায়।
২. ডায়ারিয়া : জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত বিড়ালের মধ্যে ডায়ারিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৩. বমি : জলাতঙ্কে আক্রান্ত বিড়াল বমি করতে পারে।
৪. অক্সিজেনের অভাব : জলাতঙ্ক রোগে বিড়াল ডিস্ট্রেস হতে পারে এবং প্রয়োজনে অক্সিজেনের অভাবের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
৫. অতিরিক্ত নিপীড়ন এবং প্রশ্রয় : জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত বিড়ালের সাধারণত অতিরিক্ত নিপীড়ন এবং আতঙ্কিত লক্ষণ প্রকাশিত পেতে পারে।
৬. অতিরিক্ত গরম : রোগে আক্রান্ত বিড়াল অতিরিক্ত গরম লাগাতে পারে এবং অধিক অস্বস্তি প্রকাশ করতে পারে।
যদি আপনার বিড়ালের এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সরাসরি একজন প্রাণিচিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে আপনার বিড়ালের সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া যায়। জলাতঙ্ক রোগ সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে তা মারাত্মক হতে পারে এবং আপনার বিড়াল মৃত্যু হতে পারে।
বিড়ালের ভ্যাক্সিন
বিড়ালের ভ্যাক্সিন অত্যন্ত জরুরী কারণ যদি বিড়ালের ভ্যাক্সিন করা থাকে তাহলে বিড়ালের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। যার ফলে বিড়ালে রোগ কম হবে।
তাই
প্রতি ০৪ (চার) মাস পর পর ভ্যাক্সিন করা অত্যন্ত জরুরী।
ভ্যাক্সিন করানোর জন্য আপনি আপনার জেলা বা উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে েকম টাকায় করাতে পারেন।
বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় ?
বিড়ালের লখের আচরে সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা খুব কম। আপনার বিড়াল যদি পালিত বিড়াল হয় তাহলে সমস্যা হওয়া সম্ভনা থাকে না। যদি আপনার বিড়াল বাড়ির বাহিরে যাতায়াত থাকে তাহলে একটু ঝুকি থাকে। সাধারণত ঘরের বিড়ালের আচরে কোন সমস্যা হয়না । তবু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাক্সিন করে নিতে পারেন। এতে ঝুকিঁ মুক্ত থাকবেন।
শেষকথাঃ
আজকের পর্বে আপনাদের মাঝে তুরে ধরলাম বিড়ালের
যত্ন, বিভিন্ন রোগ এবং বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে। ভূলক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভুল হলে জানাবেন যাতে সংশোধন করতে পারি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
আমাদের আরো অনেক পর্ব রয়েছে তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।