ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? এ টু জেট।
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে । এই পোষ্টে আপনার জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? এ টু জেট। আশা করি আপনার উপকৃত হবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন ও ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলিতে পন্য বা পরিসেবা প্রচারের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া। এটি ওয়েবসাইট ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, মোবইল অ্যাপ্লিকেশন, ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয়ের সাথে সর্ম্পকিত। ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত টেকনিয় প্রয়োগ করে অস্থায়ী এবং মূল্যবান ফলাফল সংগ্রহে করতে সাহায্য করে। যা পরবর্তীতে মার্কেটিং পরিচালনার কাজে ব্যবহার করে থাকে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে?
তবে, মোটামুটি ধারণা পাওয়ার পর প্রযুক্তিগত উন্নতি পেতে আপনি অনেক বেশি সময় নিয়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সময় দিতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ মূলত ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলিতে প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মার্কেটিং পদ্ধতি। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ কি তা নিচে বর্ণনা করা হলঃ-
১.ওয়েবসাইট প্রচার এবং উন্নতি- ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজেশন এর কাজে সহায়তা করা।
২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার, সম্প্রচার, সাহায্য করা।
৩. ইমেল মার্কেটিং : ইমেল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।
৪. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) : সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে ওয়েব সাইটে মূল্যবান ট্রাফিক নিয়ে যাওয়া।
৫. কন্টেন্ট মার্কেটিং: বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রচার করা, যেমনঃ ব্লগ পোস্ট, ইউটিউব ভিডিও, ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। এটি প্রধানত আর্থিক কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে এবং লক্ষ্যগুলি অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তিগত সমাধান ব্যবহার করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় কি?
ডিজিটাল
মার্কেটিং শেখার উপায় অনেক গুলো রয়েছে তার মধ্য থেকে কিছু উপায় তুলে ধরা হলঃ-
১. অনলাইন
টিটোরিয়ালঃ বর্তমানে অনলাইলে হাজার হাজার টিটোরিয়ার রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল
মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পারেন এবং বিনামূল্য শিখতে পারবেন।
২. বিভিন্ন কোর্স এর মাধ্যমে:- বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে কোর্স করায়। আপনি চাইলে যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোর্স করে শিখতে পারেন।
৩. বই: অনেক
গুলো বই পাওয়া যায় আপনি বই পড়েও শিখতে পারে।
৪. রিসোর্স
তথ্য: অনলাইনে বিভিন্ন রিসোর্স এর তথ্য রয়েছে
যার মাধ্যমে আপনি ধারণা এবং বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারবেন।
৪. শিখার
সাথে সাথে কাজ করা: শিখার সময় কিছু ধারণা নেওয়ার পর আপনি কাজ ও শুরু করে দিতে পারে
এতে করে আপনার শিখার হার অনেক গুন বেড়ে যাবে। এবং বিভিন্ন সমস্যা সামনে আসবে যার সামাধান
বের করতে করতে আপনি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।
৫. প্রযুক্তি
অনুসরণ করাঃ সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগুলো অনুসরণ করবেন এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে
পারবেন এবং সহজেই শিখতে পারবেন।
৬. কমিউনিটি নেটওয়াকিংঃ বিভিন্ন পেশাদারদের সাথে কমিউনিটি তৈরী করুন এবং কাজ করুন।
প্রতিটি কাজ শেখার সময় অনেক বাধা তৈরী হয় যা অন্য কারো থেকে সাহায্য নিয়ে অনলাইন থেকে সাহা্য্য নিয়ে সামাধান করা সম্ভব তাই শেখার সময় লেগে থাকুন ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিয় কি কিভাবে করতে হয় তার উপায়গুলি নিচে বর্ণনা করা হলো।
১. লক্ষ্যমূলক পরিকল্পনা তৈরি করা ঃ আপনার লক্ষ্যগুলি অনুযায়ী একটি বিস্তারিত মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করুন, যা আপনার টার্গেট পাবলিকের মূল্যবান ফলাফল সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে।
২. টার্গেট পাবলিক নির্ধারণ করাঃ আপনার লক্ষ্য পাবলিকের আগ্রহ এবং অনুপ্রেরণা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে সাহায্য করুন।
৩. ওয়েবসাইট তৈরি এবং অপ্টিমাইজেশনঃ একটি আকর্ষণীয়, ব্যবহারযোগ্য ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং তা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করুন যাতে আপনার টার্গেট পাবলিক আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারে।
৪. সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারঃ পপুলার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য/পরিষেবা প্রচার করুন ।
৫. কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রচার করুন যা আপনার
লক্ষ্য করা পাবলিকের মাঝে আগ্রহ জাগে। ইত্যাদি।
সামগ্রিকভাবে, ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য বা পরিষেবার প্রচার এবং লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
১. কম্পিউটার
ও ইন্টারনেটঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কম্পিটার এবং ইন্টানেট সংযোগ এর প্রয়োজন হয়।
২. ওযেব
সাইটঃ আপনার প্রতিষ্ঠান এর জন্য একটি ওয়েব
সাইট প্রয়োজন যার মধ্য আপনার কন্টেন্ট গুলো প্রকাশ করতে পারেন।
৩. সোশ্যাল
মিডিয়া প্রার্টফর্ম এক্যাউন্টঃ- আপনার সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে এক্যাউন্ট করে রাখতে হবে যার মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশ
করতে পারবেন।
৪. ইমেইল
মার্কেটিং প্লার্টফর্মঃ ইমেইন ক্যাম্পইন চালানোর জন্য ইমেইল মার্কেটিং প্লার্টফর্ম
এ যুক্ত থাকতে হবে।
৪.গ্রাফিক্স
ডিজাইন সফটয়্যারঃ- আপনাকে যে কোন গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটয়্যার সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
৫. টুলসঃ
বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং টুলস আপনার সংগ্রহে রাখতে হবে এবং জানতে যা আপনার কাজে সহায়তা
করবে এবং কাজ দ্রুতার সাথে করতে পারবেন।
৬. সময় এবং
প্রচেষ্টাঃ আপনাকে সব চাইতে বেশি সময় দিতে হবে এবং চেষ্টা করে যেতে হবে তারপর আপনি সফল হতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত
বিষয় গুলো ও সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করতে হবে অন্যথায় সফল
হতে পারবেন না।
মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?
মোবাইল দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন কিন্তু, আপনি
পুর্ণাঙ্গভাবে করতে পারবেন না ।
কারণ এতে অনেক বাধা থাকে এছাড়া ও মোবইল দিযে সব কাজ করা সম্ভব
নয়। আপনি ভাবে মার্কেটিং করা জন্য আপনাকে অব্শ্যই কম্পিউটার দিয়ে কাজ করা উচিৎ হবে
বলে আমি মনে করি।
আমাদের আরো ব্লগ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।